আচ্ছা, প্রাচীনকালেতো ঘড়ি, দাড়িপাল্লা বা গজফিতে ছিলো না! তখন সময়, ভর বা দৈর্ঘ্য কিভাবে মাপা হতো? তখন মানুষ পরিমাপের জন্য অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করতো। যেমন আকাশে সূর্য আর চাঁদের অবস্থান দেখে সময়ের ধারনা পেতো। কোন কিছুর দৈর্ঘ্য মাপার জন্য লাঠি, দড়ি বা হাত ব্যবহার করতো। কোন কিছুর পরিমান করার জন্য হাতে নিয়ে তার ভার আন্দাজ করার চেস্টা করতো।
কিন্তু এর মাধ্যমে সময়, দৈর্ঘ্য বা পরিমানের একটা ধারনা পাওয়া গেলেও সঠিক মানটা জানা যেতো না। এজন্য প্রাচীনকালের দার্শনিকরা পরিমাপ করার জন্য সময়, দৈর্ঘ্য বা পরিমানের একক এর প্রবর্তন করেন এবং কালক্রমে সারা পৃথিবীতেই পরিমাপের জন্য এককের ব্যবহার শুরু হলো।
কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি হবার সাথে সাথে পরবর্তী সময়ে একটা ছোট্ট সমস্যা দেখা দিলো। এক এক দেশের মানুষ এক একটা জিনিস পরিমাপ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন একক ব্যবহার করতো। যেমন কোন একটা দেশে দৈর্ঘ্য মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো ফুট, অন্য একটা দেশে দেখা গেলো তারা দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে সেন্টিমিটার দিয়ে, আরেক জায়গায় দেখা গেলো দৈর্ঘ্যের একক হিসাবে তারা শুধু মিটার ব্যবহার করে। সারাবিশ্বে সব মিলিয়ে তিন ধরনের একক প্রচলিত ছিলো-
এই তিন ধরনের পরিমাপের পদ্ধতির মধ্যে সি.জি.এস পদ্ধতির প্রবর্তনকারী ছিলেন বিখ্যাত গণিতবীদ কার্ল ফ্রেডরিক গাউস। এজন্য অনেকসময় সি.জি.এস একককে গাউসিয়ান একক ও বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু এর মাধ্যমে সময়, দৈর্ঘ্য বা পরিমানের একটা ধারনা পাওয়া গেলেও সঠিক মানটা জানা যেতো না। এজন্য প্রাচীনকালের দার্শনিকরা পরিমাপ করার জন্য সময়, দৈর্ঘ্য বা পরিমানের একক এর প্রবর্তন করেন এবং কালক্রমে সারা পৃথিবীতেই পরিমাপের জন্য এককের ব্যবহার শুরু হলো।
কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি হবার সাথে সাথে পরবর্তী সময়ে একটা ছোট্ট সমস্যা দেখা দিলো। এক এক দেশের মানুষ এক একটা জিনিস পরিমাপ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন একক ব্যবহার করতো। যেমন কোন একটা দেশে দৈর্ঘ্য মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো ফুট, অন্য একটা দেশে দেখা গেলো তারা দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে সেন্টিমিটার দিয়ে, আরেক জায়গায় দেখা গেলো দৈর্ঘ্যের একক হিসাবে তারা শুধু মিটার ব্যবহার করে। সারাবিশ্বে সব মিলিয়ে তিন ধরনের একক প্রচলিত ছিলো-
- ১) এফ.পি.এস পদ্ধতি F.P.S.অর্থাৎ Foot, Pound ও Second কে একক ধরে পরিমাপের পদ্ধতি
- ২) সি.জি.এস পদ্ধতি C.G.S বা Centimeter, Gram এবং Second এ পরিমাপের পদ্ধতি
- ৩) এবং এম.কে.এস পদ্ধতি M.K.S অথবা Meter, Kilogram আর Second এককে পরিমাপের পদ্ধতি
রাশির নাম | MKS | CGS | FPS |
---|---|---|---|
দৈর্ঘ্য (\(L\)) | মিটার (\(m\)) | সেন্টি মিটার (\(cm\)) | ফুট (\(ft\)) |
সময় (\(T\)) | সেকেন্ড (\(s\)) | সেকেন্ড (\(s\)) | সেকেন্ড (\(s\)) |
ভর (\(M\)) | কিলোগ্রাম (\(kg\)) | গ্রাম (\(g\)) | পাউন্ড (\(lb\)) |
তড়িৎ প্রবাহ (\(T\)) | অ্যাম্পিয়ার (\(A\)) | অ্যাম্পিয়ার (\(A\)) | ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক (\(fpse\)) ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক (\(fpsm\)) |
তাপমাত্রা (\(T\)) | কেলভিন (\(K\)) | সেলসিয়াস (\(°C\)) | ফরেনহাইট (\(°F\)) |
পদার্থের পরিমাণ (\(n\)) | মোল (\(mol\)) | মোল (\(mol\)) | পাউন্ড-মোল (\(lb-mol\)) |
দীপন ক্ষমতা (\(I\)) | ক্যান্ডেলা (\(Cd\)) | ক্যান্ডেল পাওয়ার (\(cp\)) | ফুট-ক্যান্ডেল (\(ft−candle\)) |
পরিমাপের বিভিন্ন একক
Reviewed by Dayeen
on
জানুয়ারী ২৩, ২০২০
Rating: